কবিতার পরিবারের একমাত্র ব্লগজিন

এখনও পর্যন্ত  Website counter  জন ব্লগটি দেখেছেন।

সোমবার, ১৩ আগস্ট, ২০১২

শুভ বাবার

উত্তরবিহীন প্রশ্নের উত্তর আমি ভয়ে খুঁজিনি

উত্তরবিহীন প্রশ্নের উত্তর আমি ভয়ে খুঁজিনি
অদ্ভুত এক শূন্যতা গোটা তল্লাট জুড়ে
নৈরাশ্যের কথা বলতে চাইনা,উপমায় অজস্র জলপ্রপাত

কপাল থেকে চিবুকে হৃদয়ে ভাসে শুধু চূর্ণ কষ্টের গুঁড়ো।
ব্যস্ততা যখন তুঙ্গে নগরজুড়ে ছায়াসঙ্গী স্বার্থপর ভালোবাসা ৷

অন্ধকার থেতলে দিয়েছে অপূর্ন ইচ্ছা গুলো
ইদানিং অর্থহীন মনে হয় দিনগুলোকে
কোণঠাসা ভাবনা চিন্তার দুমড়ে মুচড়ে চটকে যাওয়া
রমণ সুখের উষ্ণতা প্রথাগত নিয়ম ব্যাখ্যা চায় না
যে সভ্যতায় আত্মসচেতনতা মেলে দেয় নিউক্লিয়ার ছোট্ট সংসার
পর্দা ফুঁড়ে ঊরুর জিজ্ঞাসায় বারংবার টুটি চেপে ধরে পরিত্যক্ত চুল্লী
অক্সিজেন খুঁজে স্থূল মানবেরা থালায় থৈ থৈ রাত
আধাঁরে একগলা যুবক যুবতীর উড়ছে বেলুন জমালো ভেজাল
দর্জির আঙ্গুল ভীরু গর্ভে কাঁচি ছুঁড়ে দিলে পূর্ণিমাচাঁদ নাড়িটান
প্যান্টে ফলেছে থিরথিরে চোখ মালিকের বাড়িতে গোলাপবাগান ৷

সর্পনখা-নাভির জন্মতিল নখের প্রান্তবিন্দুতে যৌনঘ্রাণ
সজন্মা ঘাস কস্তুরীজল
আঙুলের জ্যামিতি আরও নিচে সবজি-হরিণ
ঘামের নিজস্ব আকুতি
অবিরল উচ্ছ্বাসে পাথর চাপা সময়েও চিড় ধরে
বিলম্বিত স্বর্ণালী রোদের অপেক্ষায় রাত্রিরও ক্লান্তি আসে,
গাছ চুঁয়ে পড়ে শীতল আনন্দ
রসের কলসে অব্যবহারে মরচে পড়া
শব্দবন্ধ নড়েচড়ে হয়তো ওরই আচ্ছাদনে পেয়ে যাবো
হারানো রূপোর চাবি গোছা
বাতাসের ভাঁজে ভাঁজে কষ্টের কাহন
ঋতুরা হঠাৎ এসে হঠাৎ
হারিয়ে যাচ্ছে ছায়া হয়ে ইচ্ছেহীন বসে থাকি ৷
জলহীন নদীর পারে--রঙহারানো জীবনের গল্পে, অনন্তকাল।

প্রতিদিন চিত্রকল্পের বদলে
রচনা করি অগণন কল্পচিত্র রুপটান
রাজঁপরিবারে রুপ কথার রাখাঁল সেজে চিৎকার করি বাঘের আগমনে
হায় অন্ধ কোকিল কাকের
বাসায় ডিম পেড়ে গেয়ে উঠিস কুহু-কুহু সুরে
আসলে আমরা জ্যোৎস্নার আগুনে রান্না করি গহীন অন্ধকারে
আমরা আসলে কাক তাড়াবার ছদ্দবেশে প্রতিদিন জ্যোৎস্না তাড়াই ৷


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন