কবিতার পরিবারের একমাত্র ব্লগজিন

এখনও পর্যন্ত  Website counter  জন ব্লগটি দেখেছেন।

শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১২

রাজর্ষি ঘোষ

অবশেষে কবিতারা


অবশেষে বিকলাঙ্গ
প্রমাণিত হল ঈষৎ হাসনুহানা; আজ একটি কবিতা আমায় সৃষ্টি করেছে।
বর্ষার মরিয়া শ্রাবণে অপর্যাপ্ত, যদিও সে আলগোছে গড়ে নিল বিকৃত মুখ।
ম ম করে উঠল পশ্চিমী গলি, জমা জল -ছপছপে কিছু মেঘের মোড়কে।
নাহয় বাতিঘর, তবু অস্তগামী হল শেষ ধ্রুবতারা অনেক স্মিত নির্বাসনে। 

অবশেষে ফুটপাথে
আজ একটি কবিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়। সে গর্ভে ধারণ করে শিশু ভারতবর্ষ।
অভ্যস্ত পুষ্প-স্তবক ঝরে ঝরে পড়ে নি আকাশপথে তবুও জেরুজালেম;
এক মুঠো রোদেলা বিদ্রোহী শুষে নেয় ওজোন লেয়ার সাময়িক বালিঝড়ে।
অতএব বেজন্মা পতঙ্গর রূপডানা ছুঁয়ে সাদা মেঘ লিখে দিল প্রজাপতি।

অবশেষে খেলাঘর
যেহেতু জোটে নি কার্বাইড হাতে, একটি কবিতা মেলে দিল ছায়া ক্যানভাস।
অশীতিপর হাতে আঁকা হল নবান্নের গান, শিশিরের কান্না ইতি অশরীরী;
ইতিকথা সাঁঝবাতি হলে ডুবে গেল সুবর্ণরেখা কদমের বনে যদি ভালবাস।
যদি ভালবাস ডুবে যাবে ছই; অনুকূল, প্রতিকূল এবং অনন্ত মহাকাশচারী। 

অবশেষে কবিতারা
নাকচ করে দিলে একটি কবিতা, যদিও বিশুদ্ধ প্রলাপ বকেছিল মস্তিষ্ককোষ।
প্রাচীন অশ্বমেধে কোন জনমেজয়ের রাশ টেনে ধরে আলেকজান্ডারের ঘোড়া
চেঁচিয়ে বলেছিল নিপাতে যাক রোমান সাম্রাজ্য। রাজপথে হ্যামলিনের বাঁশী
কখনো জন্ম দেয় না যিশুখ্রিস্টর। তবে, তবে পথভ্রষ্ট কবিতারাও মানুষ হল না।

1 টি মন্তব্য: