এক চন্দ্রাভিসারী মানুষ ও হিমু-মিসির আলী
হিমু বা মিসির আলির রহস্যময় পথে হেঁটে
জগতের অদ্ভুত রহস্যময়তা ভেদ করে
মানবমনের অতি গভীরে ঢুকে যাবেন না আর,
একজন চন্দ্রালোকিত মানুষ ।
চিন্তাগুলোকে প্রকাশের যে ধরণ চিরকালীন,
তার বাইরে গিয়ে অসম্ভব সরল গলায়
আর কেউ স্পর্শ করবেন না আমাদের মন ।
বৃষ্টিদিনে ভেজা পথে খালি পায়ে হিমু
আর জট ছড়াবে না জটিল মানুষগুলোর ...
মিসির আলি আর দেখবেন না, -
অতি রূপবতী এক মানুষের কী অসম্ভব যন্ত্রণাদায়ক
জীবনের পেছনে এক অন্যরকম চন্দ্রালোক ।
চন্দ্রগীতি গাইতে গাইতে তার চরিত্রগুলো আর দেখবে না,
জোছনা রাতে 'সবাই গেছে বনে' ।
কেন চলে গেলেন ! কেন ! ...
অদেখা এক মানুষ কী ভাবে সত্বায় এভাবে প্রোথিত হলেন ? ...
চোখভরা আর্তি আর জল বলে,
এই জগতের রহস্যময়তার কতটুকুই আমরা বুঝি ?
অনেক লেখা স্মৃতিতে জমতে জমতে ...
একদিন এক মানুষ জীবনে এলেন ।
কতগুলো কালো হরফে মাথার ভেতরে গড়ে ওঠা
এক পথকে বদলে দিতে । দিলেনও ।
অনেক বদলালেন । অসামান্য এক পথ তৈরি করে,
ঝিমঝিম এক মায়াজাল আবার নতুন ভাবে
নতুন মস্তিষ্ক বানিয়ে দিলেন ।
শোনালেন এক অসাধারণ চন্দ্রগীতি,-
'ও কারিগর, দয়ার সাগর, ওগো দয়াময়য়,
চাননি পশর রাইতে যেন আমার মরণ হয় ।'
জোছনায়, চাঁদের আলোয় ভিজতে ভিজতে
পথে চলার দৃশ্য এঁকে দিলেন,
অপার্থিব সুন্দর, যা নেই তা না ভাবতে ।
ভাবতে, যে ভাবে ঘটে । বোঝালেন, আশপাশ আর
চরিত্রগুলোকে চিত্রিত করতে, আর চিনতে ।
বিন্দু বিন্দু করে এক মোহময় বিভ্রম
আমায় গড়ে তুলেছিল এক চন্দ্রাভিসারী মানুষ ।
একদিন শক্ত হাতে তুলে নিয়েছিলাম বৈঠা ...
এক দুরাভিমুখী জলের ধারা বেয়ে
ছুঁয়ে দিতে তুমুল জোছনার গা ।
কখন, কে আমার মনে জোছনার
স্বপ্নীল তরলে কষ্ট ভাসিয়ে দিতে শিখিয়েছিলেন !
তার চাইতেও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, - শিখেছিলাম ।
আজ মনে পড়ছে, সজল চোখেও
চন্দ্রকথায় হয়ে ওঠা যায় স্বপ্নচারী অসমসাহস ।
যিনি শেখালেন, তাকে বুকে রেখেই সরল চোখে
দেখে যেতে চাই পৃথিবীর গা বেয়ে পড়ছে
এক শুভ্র সুন্দর কল্যাণের ধারা ।
তিমিরে তীব্র জোছনার প্লাবন ।
( নন্দিত লেখক হুমায়ুন আহমেদের স্মরণে লেখা )
হিমু বা মিসির আলির রহস্যময় পথে হেঁটে
জগতের অদ্ভুত রহস্যময়তা ভেদ করে
মানবমনের অতি গভীরে ঢুকে যাবেন না আর,
একজন চন্দ্রালোকিত মানুষ ।
চিন্তাগুলোকে প্রকাশের যে ধরণ চিরকালীন,
তার বাইরে গিয়ে অসম্ভব সরল গলায়
আর কেউ স্পর্শ করবেন না আমাদের মন ।
বৃষ্টিদিনে ভেজা পথে খালি পায়ে হিমু
আর জট ছড়াবে না জটিল মানুষগুলোর ...
মিসির আলি আর দেখবেন না, -
অতি রূপবতী এক মানুষের কী অসম্ভব যন্ত্রণাদায়ক
জীবনের পেছনে এক অন্যরকম চন্দ্রালোক ।
চন্দ্রগীতি গাইতে গাইতে তার চরিত্রগুলো আর দেখবে না,
জোছনা রাতে 'সবাই গেছে বনে' ।
কেন চলে গেলেন ! কেন ! ...
অদেখা এক মানুষ কী ভাবে সত্বায় এভাবে প্রোথিত হলেন ? ...
চোখভরা আর্তি আর জল বলে,
এই জগতের রহস্যময়তার কতটুকুই আমরা বুঝি ?
অনেক লেখা স্মৃতিতে জমতে জমতে ...
একদিন এক মানুষ জীবনে এলেন ।
কতগুলো কালো হরফে মাথার ভেতরে গড়ে ওঠা
এক পথকে বদলে দিতে । দিলেনও ।
অনেক বদলালেন । অসামান্য এক পথ তৈরি করে,
ঝিমঝিম এক মায়াজাল আবার নতুন ভাবে
নতুন মস্তিষ্ক বানিয়ে দিলেন ।
শোনালেন এক অসাধারণ চন্দ্রগীতি,-
'ও কারিগর, দয়ার সাগর, ওগো দয়াময়য়,
চাননি পশর রাইতে যেন আমার মরণ হয় ।'
জোছনায়, চাঁদের আলোয় ভিজতে ভিজতে
পথে চলার দৃশ্য এঁকে দিলেন,
অপার্থিব সুন্দর, যা নেই তা না ভাবতে ।
ভাবতে, যে ভাবে ঘটে । বোঝালেন, আশপাশ আর
চরিত্রগুলোকে চিত্রিত করতে, আর চিনতে ।
বিন্দু বিন্দু করে এক মোহময় বিভ্রম
আমায় গড়ে তুলেছিল এক চন্দ্রাভিসারী মানুষ ।
একদিন শক্ত হাতে তুলে নিয়েছিলাম বৈঠা ...
এক দুরাভিমুখী জলের ধারা বেয়ে
ছুঁয়ে দিতে তুমুল জোছনার গা ।
কখন, কে আমার মনে জোছনার
স্বপ্নীল তরলে কষ্ট ভাসিয়ে দিতে শিখিয়েছিলেন !
তার চাইতেও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, - শিখেছিলাম ।
আজ মনে পড়ছে, সজল চোখেও
চন্দ্রকথায় হয়ে ওঠা যায় স্বপ্নচারী অসমসাহস ।
যিনি শেখালেন, তাকে বুকে রেখেই সরল চোখে
দেখে যেতে চাই পৃথিবীর গা বেয়ে পড়ছে
এক শুভ্র সুন্দর কল্যাণের ধারা ।
তিমিরে তীব্র জোছনার প্লাবন ।
( নন্দিত লেখক হুমায়ুন আহমেদের স্মরণে লেখা )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন