শিরোনামহীন
কেন এত জতুগৃহ,
কেন মানুষ এত অচেতন,
যে মেয়েটি সংসারের হাসি দেখবে বলে ফুসফুসে জমিয়েছে তুলোর আঁশ,
কান বধির হয়ে গেছে সেলাইয়ের একটানা ঘর্ঘরে;
যে শিশুর হাত ফুসফুস ঝাঁঝরা করেছে ব্যারাইটা, সোরা, গন্ধক অ্যালুমিনিয়াম ম্যাগনেসিয়াম হা, স্ট্রনসিয়াম নাইট্রেট;
যার হাতে থাকার কথা ছিল বই খাতা বার্থ ডে উপহারের স্তুপ
তারা তবু বেঁচে ছিল ঢাকা বজবজ শিবকাশিতে।
বেঁচে ছিল না বাচার মত মুখে তবু হাসি ছিল,
চোখে ছিল সামান্য স্বপ্ন হয়ত
জতুগৃহে প্রবেশের সময় তারা বোঝে নি
এটাই শেষ দিন বোঝে নি আজ ঘটবে বিস্ফোরণ,
সমস্তই শেষ হয়ে যায় লাশের স্তুপে চেনা শরীরটাকে খোঁজে হাহাকারে আত্মজন।
ভালো লাগলো যদিও বাস্তব করুন চিত্র।
উত্তরমুছুন