সম্পাদকীয়
পুজো এসে গেল, আকাশ মেঘমুক্ত হতে না চাইলেও শারদীয়া আনন্দে মেঘের পেঁজাতুলো, ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি, কাশবনে বাতাসের ঢেউ খেলে যাওয়া এসবের মধ্যে মা আনন্দময়ীর আগমনী বার্তা, পাশাপাশি পবিত্র ঈদ উল্ আজহার উৎসবের আনন্দ। আর সাহিত্যপিপাসু বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়লো পুজো নিয়ে। শারদীয়া পত্রিকা আনন্দ প্রকাশের একটা মাধ্যম, পড়তেই হয়, লিখতেই হয়, নইলে কিছু একটা হয়নি হয়নি ভাব। পূজার অবিচ্ছেদ্য সাংস্কৃতিক অঙ্গ। ধারাপাতি কিংবা ধ্রুপদী সাহিত্যের সাথে আনকোরা কবিও মিলে যান আনন্দে সামিল হতে। ভাবখানা এই ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে আমাদের এই আনন্দ ভাগ বাটোয়ারা করে নিতে হবে। বিপুল নস্টালজিয়ার ঘনঘটা।
এতো পড়েছি যে আমি ও দু চারটে অমনি লিখে দিতে পারি চোখ বুজেই। ছেলেবলার কথা মনে পরে তো লিখে দিলাম। মন ভালো লাগছেনা তো লিখে ফেললাম । কাশবনে রয়েছি একটু ভাবলাম, মূর্তি গড়া দেখছি চন্ডীতলায়। মিঠে রোদে পিঠ দিয়ে ক্ষ্যান্ত পিসি ফল কাটছেন , গরদের শাড়ী পরে মা নৈবিদ্য সাজাচ্ছেন, আতপ চালের গন্ধ, ধুপের গন্ধ পেলাম নাক ভরে - লিখে দিলাম। বাড়ী ময় ম ম করছে লুচিভাজা সুজির পায়েসের সৌগন্ধ। স্মৃতিকথা বেরিয়ে আসে মনের মনিকোঠা থেকে। পড়েছি কতবার, লিখেছিও কিন্তু পুরনো হয় না। পুরনোকে নতুন করে পাবার আকাঙ্খা, নিজেকে সাহিত্য দর্পনে দেখা, একটা আঙ্গিক তৈরী করতে অন্তর্জাল মাধ্যম। আপনারা পড়েছেন অনেকবার, নিজেরাই লিখেছেন অনেক বেশী। অন্তর্জাল মাধ্যমকে সাহত্য চর্চার মাধ্যম হিসেবে অনেকেই মেনে নিতে চান না। মনে একটা প্রশ্নও আসে এত কবিতা এত লেখা - সাহিত্য চর্চার মূলস্রোত বেনোজলে ভেসে যাবে না তো? অথচ সবচেয়ে প্রানবন্ত মাধ্যম - কত মানুষের হাসি কান্না সুখ আনন্দ, বৃত্তের থেকে বেরিয়ে আসবার প্রচেষ্টা - অদম্য আগ্রহ নিজের সৃষ্টিকে প্রসবিত হতে দেখবার। আর এই সন্তানতুল্য সৃষ্টিকে তাৎক্ষণিক উপহারে ভরে যেতে দেখবার মধ্যে এক সুখ অনুভব - আমার মনে হয় প্রবীণ - নবীন, কবি অকবি, পাঠক, কেউ মেধাবী কেউ বালখিল্য সকলকে মিলে ও মিলিয়ে এ এক জীবন্ত ক্ষেত্র। কবিতা, গল্প, চিন্তা, প্রবন্ধ, ভ্রমনকাহিনী , ছবি আঁকা, কি নেই?
প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পেলেও কোনো অভিমান নেই, সৃষ্টির অনাবিল আনন্দে দুর্বার এগিয়ে চলা । সহজাত দলবদ্ধতার মানসিক তাগিদ এখানেও কিছু গ্রুপ, চক্র, সংহতি এসবের সৃষ্টি করেছে । কবিতার পরিবার প্রায় চার বছর ধরে এক অনবদ্য মিলনমেলা। প্রাণের উচ্ছাস একে এক অতুলনীয় উচ্চটাতে তুলে ধরেছে। ধাপে ধাপে উত্তরণ ঘটেছে - সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কবি ও সাহিত্যিক সুমিত রঞ্জন বাবু-র নিষ্ঠা ও সিদ্ধার্থ শর্মার প্রাণপ্রাচুর্যে ‘পারিবারিক’ ব্লগ ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়ে আসছে। অনেক মানুষ লিখেছেন, নিজে পড়ুন ও অপরকে পড়ান, উৎসাহ দিন। সাহিত্যমনের বিবর্তনের সাক্ষী থাকুন। জীবনযাপনের অন্য নাম হোক সাহিত্য আলাপন। আসুন সহায় সম্বলহীন মনকে আস্তাকুঁড়েতে নিক্ষেপ না করে সকল অনুভবকে সাহিত্যে রূপ দেই। মন্ত্রোচ্চারণের সাথে সাথে জীবনযাপনের মধুরিমা পথে আলোকবর্তিকা হিসেবে, মন মানসে পদ্ম হয়ে প্রস্ফুটিত হই। কবিতার পরিবারে একান্নবর্তী পারিবারিক সান্নিধ্যে সুখী হই। প্রশান্তি ছেয়ে যাক। কবিতার পরিবারের সকলকে শারদীয়া পূজা ও ঈদ উল্ আজহার শুভেচ্ছা । ভালো কাটুক জীবন, ভালো থাকুন , ভালো রাখুন।
শুভেচ্ছান্তে -
পারিবারিকের পক্ষে জয়ন্ত সাহা।
পুজো এসে গেল, আকাশ মেঘমুক্ত হতে না চাইলেও শারদীয়া আনন্দে মেঘের পেঁজাতুলো, ঝিরঝিরিয়ে বৃষ্টি, কাশবনে বাতাসের ঢেউ খেলে যাওয়া এসবের মধ্যে মা আনন্দময়ীর আগমনী বার্তা, পাশাপাশি পবিত্র ঈদ উল্ আজহার উৎসবের আনন্দ। আর সাহিত্যপিপাসু বাঙালী ঝাঁপিয়ে পড়লো পুজো নিয়ে। শারদীয়া পত্রিকা আনন্দ প্রকাশের একটা মাধ্যম, পড়তেই হয়, লিখতেই হয়, নইলে কিছু একটা হয়নি হয়নি ভাব। পূজার অবিচ্ছেদ্য সাংস্কৃতিক অঙ্গ। ধারাপাতি কিংবা ধ্রুপদী সাহিত্যের সাথে আনকোরা কবিও মিলে যান আনন্দে সামিল হতে। ভাবখানা এই ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে আমাদের এই আনন্দ ভাগ বাটোয়ারা করে নিতে হবে। বিপুল নস্টালজিয়ার ঘনঘটা।
এতো পড়েছি যে আমি ও দু চারটে অমনি লিখে দিতে পারি চোখ বুজেই। ছেলেবলার কথা মনে পরে তো লিখে দিলাম। মন ভালো লাগছেনা তো লিখে ফেললাম । কাশবনে রয়েছি একটু ভাবলাম, মূর্তি গড়া দেখছি চন্ডীতলায়। মিঠে রোদে পিঠ দিয়ে ক্ষ্যান্ত পিসি ফল কাটছেন , গরদের শাড়ী পরে মা নৈবিদ্য সাজাচ্ছেন, আতপ চালের গন্ধ, ধুপের গন্ধ পেলাম নাক ভরে - লিখে দিলাম। বাড়ী ময় ম ম করছে লুচিভাজা সুজির পায়েসের সৌগন্ধ। স্মৃতিকথা বেরিয়ে আসে মনের মনিকোঠা থেকে। পড়েছি কতবার, লিখেছিও কিন্তু পুরনো হয় না। পুরনোকে নতুন করে পাবার আকাঙ্খা, নিজেকে সাহিত্য দর্পনে দেখা, একটা আঙ্গিক তৈরী করতে অন্তর্জাল মাধ্যম। আপনারা পড়েছেন অনেকবার, নিজেরাই লিখেছেন অনেক বেশী। অন্তর্জাল মাধ্যমকে সাহত্য চর্চার মাধ্যম হিসেবে অনেকেই মেনে নিতে চান না। মনে একটা প্রশ্নও আসে এত কবিতা এত লেখা - সাহিত্য চর্চার মূলস্রোত বেনোজলে ভেসে যাবে না তো? অথচ সবচেয়ে প্রানবন্ত মাধ্যম - কত মানুষের হাসি কান্না সুখ আনন্দ, বৃত্তের থেকে বেরিয়ে আসবার প্রচেষ্টা - অদম্য আগ্রহ নিজের সৃষ্টিকে প্রসবিত হতে দেখবার। আর এই সন্তানতুল্য সৃষ্টিকে তাৎক্ষণিক উপহারে ভরে যেতে দেখবার মধ্যে এক সুখ অনুভব - আমার মনে হয় প্রবীণ - নবীন, কবি অকবি, পাঠক, কেউ মেধাবী কেউ বালখিল্য সকলকে মিলে ও মিলিয়ে এ এক জীবন্ত ক্ষেত্র। কবিতা, গল্প, চিন্তা, প্রবন্ধ, ভ্রমনকাহিনী , ছবি আঁকা, কি নেই?
প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি না পেলেও কোনো অভিমান নেই, সৃষ্টির অনাবিল আনন্দে দুর্বার এগিয়ে চলা । সহজাত দলবদ্ধতার মানসিক তাগিদ এখানেও কিছু গ্রুপ, চক্র, সংহতি এসবের সৃষ্টি করেছে । কবিতার পরিবার প্রায় চার বছর ধরে এক অনবদ্য মিলনমেলা। প্রাণের উচ্ছাস একে এক অতুলনীয় উচ্চটাতে তুলে ধরেছে। ধাপে ধাপে উত্তরণ ঘটেছে - সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কবি ও সাহিত্যিক সুমিত রঞ্জন বাবু-র নিষ্ঠা ও সিদ্ধার্থ শর্মার প্রাণপ্রাচুর্যে ‘পারিবারিক’ ব্লগ ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়ে আসছে। অনেক মানুষ লিখেছেন, নিজে পড়ুন ও অপরকে পড়ান, উৎসাহ দিন। সাহিত্যমনের বিবর্তনের সাক্ষী থাকুন। জীবনযাপনের অন্য নাম হোক সাহিত্য আলাপন। আসুন সহায় সম্বলহীন মনকে আস্তাকুঁড়েতে নিক্ষেপ না করে সকল অনুভবকে সাহিত্যে রূপ দেই। মন্ত্রোচ্চারণের সাথে সাথে জীবনযাপনের মধুরিমা পথে আলোকবর্তিকা হিসেবে, মন মানসে পদ্ম হয়ে প্রস্ফুটিত হই। কবিতার পরিবারে একান্নবর্তী পারিবারিক সান্নিধ্যে সুখী হই। প্রশান্তি ছেয়ে যাক। কবিতার পরিবারের সকলকে শারদীয়া পূজা ও ঈদ উল্ আজহার শুভেচ্ছা । ভালো কাটুক জীবন, ভালো থাকুন , ভালো রাখুন।
শুভেচ্ছান্তে -
পারিবারিকের পক্ষে জয়ন্ত সাহা।
অনন্য সাজে সেজে এসেছ তুমি শারদীয়া পারিবারিক।
উত্তরমুছুনধনী চিন্তায়, রূপসী অলংকরণে
অনবদ্য ভাবনায়...