কিশলয়
খোলা জানালা
দিয়ে হাতছানি দেয় অমলের দইওয়ালা ,
বেশ কঠিন ভেবেই
প্রশ্নপত্র এড়িয়ে যায় কিশলয়ের দল ,
যদিও ‘
অমল ও দইওয়ালা ’
টা সিলেবাসে আছে ,
তবু রচনাধর্মী
উত্তর হয়ে কখনো ধরা দেয় নি ওরা ।
গণিতের মুকুল
কীভাবে ‘ নব ’
হল ভাবতে বসেছে সব চারাগাছ ,
যতবার যোগের
চিহ্ন ধরে , দমকা
হাওয়া কান মুলে দেয় ,
বলে ,
“ওরে ওটা ভাগের চিহ্ন ,
শিখবি কবে ?”
ভাগ আর বিয়োগই
শিখল সবাই ,
বড় হয়ে কিশলয়
অমল আর দইওয়ালার মত মা’কে
ভুলে গেল ,
চারাগাছ ভাগের
চিহ্ন না বুঝেও মাটি ভাগ করল ,
দলিল থেকে ওরা
বিয়োগ দিলো যাবতীয় যোগের সম্ভাবনা ।
লম্বায় বাড়ে সব
চারাগাছ , কচিপাতা
প্রস্থ বাড়ায় জ্ঞানের ,
সিলেবাসে ঠাসা
বুকটা প্রতিদিন পাতলা হয় ,
ধুলো পড়ে ‘
সহজ পাঠে ’
!
জীবনের সহজ পাঠ
যে ‘ কুমোর পাড়ার
গরুর গাড়ি’-তেই
আছে –
কলসি হাঁড়ির
ঢাকনা খুলে কেউ দেখে না ।
বৃষ্টির মধ্যেও
নম্বর খোঁজে পিপাসার্ত চারাগাছ –
কিশলয় ভেজে
নম্বরে , পাতা
ভর্তি নম্বরে ।
জীবনের সহজ পাঠ যে ‘ কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি’-তেই আছে –
উত্তরমুছুনকলসি হাঁড়ির ঢাকনা খুলে কেউ দেখে না ।
বৃষ্টির মধ্যেও নম্বর খোঁজে পিপাসার্ত চারাগাছ –
কিশলয় ভেজে নম্বরে , পাতা ভর্তি নম্বরে ।
অপূর্ব!!!