বেশ্যার ঘরে নেমন্তন্ন
আজ আর খাবোনা,
আলু ভর্তা, ডাল ভাত
রুচি নেই মুখে
প্রতিদিন একই খাবারে বিস্বাদ লাগে।
বেশ্যার ঘরে নেমন্তন্ন,
রুইয়ের মুড়ো আর মুগডালে
কাঁচালঙ্কার মুড়িঘন্ট খাওয়াবে,
কচি পাঁঠার ঝোল
ঘরের পুরোনো অম্বল
বাসমতি চালের ভাত
আহা! যেন পুজোর প্রসাদ।
কি যে বলোনা তুমি!
লজ্জা হবে কেন? বামুনের ছেলে
বেশ্যার ঘরে অন্নগ্রহন এইতো আপত্তি?
মন্দিরের পুরোহিত যখন নিত্যনতুন
সেবাদাসী বুকে জড়িয়ে রাত কাটায়
তখন তোমাদের ঘেন্না হয় না কেন?
কেন বলোনা ঐ মন্দিরে
আর কোনদিন পুজা হবে না।
দূর্গা, সরস্বতী, মা কালি
শুধু অবাক দৃষ্টিতে দেখে
সাধু নামক শয়তানের শিশ্নলীলা।
ক্রমান্বয়ে তোমাদের নীরবতায়
অনিয়ম হয়ে যায় নিয়ম,
কুলের বালা কুল হারায়
অকুলে ভাসায় জীবনের জ্বীর্ন্তরী ।
আমার নাড়ীতে ক্ষুধা, বুকে তৃষ্ণা
আমি মানবোনা এসব মিথ্যে নিয়ম
নুনভাতে ভরেনা পেট, ক্ষুধায় পিত্ত জ্বলে
আমি অবলীলায় তোমাদের সবার সামনে
হেঁটে হেঁটে চলে যাবো বেশ্যার ঘরে।
ক্ষুধার কাছে ঘৃণা তুচ্ছ
জীবনের পিবরীতে মানসম্মান হাস্যকর।
তোমাদের সবার মতো সেও একজন নারী
হয়েতো কারো কণ্যা, কারো বোন
ছিলো হয়তো একদিন কারো প্রিয়তমা স্ত্রী,
কারো বা দরদী, মমতাময়ী ‘মা’।
লুন্ঠিত যৌবন পাঁজরে বেঁধে
কষ্টের কষ্টিপাথরে জীবন ঘসে ঘসে
আজ তার করুন বর্ত্মান।
আমি প্রণাম জানাই মমতাময়ী ‘মা’ কে
যার আঙ্গিনার মাটিতে গড়ো পুজার প্রতিমা
আজর তার অতিথী আমি; হোক সে
কলির দ্রৌপদী, কালেভদ্রে পঞ্চভোগ্যা!
আজ আর খাবোনা,
আলু ভর্তা, ডাল ভাত
রুচি নেই মুখে
প্রতিদিন একই খাবারে বিস্বাদ লাগে।
বেশ্যার ঘরে নেমন্তন্ন,
রুইয়ের মুড়ো আর মুগডালে
কাঁচালঙ্কার মুড়িঘন্ট খাওয়াবে,
কচি পাঁঠার ঝোল
ঘরের পুরোনো অম্বল
বাসমতি চালের ভাত
আহা! যেন পুজোর প্রসাদ।
কি যে বলোনা তুমি!
লজ্জা হবে কেন? বামুনের ছেলে
বেশ্যার ঘরে অন্নগ্রহন এইতো আপত্তি?
মন্দিরের পুরোহিত যখন নিত্যনতুন
সেবাদাসী বুকে জড়িয়ে রাত কাটায়
তখন তোমাদের ঘেন্না হয় না কেন?
কেন বলোনা ঐ মন্দিরে
আর কোনদিন পুজা হবে না।
দূর্গা, সরস্বতী, মা কালি
শুধু অবাক দৃষ্টিতে দেখে
সাধু নামক শয়তানের শিশ্নলীলা।
ক্রমান্বয়ে তোমাদের নীরবতায়
অনিয়ম হয়ে যায় নিয়ম,
কুলের বালা কুল হারায়
অকুলে ভাসায় জীবনের জ্বীর্ন্তরী ।
আমার নাড়ীতে ক্ষুধা, বুকে তৃষ্ণা
আমি মানবোনা এসব মিথ্যে নিয়ম
নুনভাতে ভরেনা পেট, ক্ষুধায় পিত্ত জ্বলে
আমি অবলীলায় তোমাদের সবার সামনে
হেঁটে হেঁটে চলে যাবো বেশ্যার ঘরে।
ক্ষুধার কাছে ঘৃণা তুচ্ছ
জীবনের পিবরীতে মানসম্মান হাস্যকর।
তোমাদের সবার মতো সেও একজন নারী
হয়েতো কারো কণ্যা, কারো বোন
ছিলো হয়তো একদিন কারো প্রিয়তমা স্ত্রী,
কারো বা দরদী, মমতাময়ী ‘মা’।
লুন্ঠিত যৌবন পাঁজরে বেঁধে
কষ্টের কষ্টিপাথরে জীবন ঘসে ঘসে
আজ তার করুন বর্ত্মান।
আমি প্রণাম জানাই মমতাময়ী ‘মা’ কে
যার আঙ্গিনার মাটিতে গড়ো পুজার প্রতিমা
আজর তার অতিথী আমি; হোক সে
কলির দ্রৌপদী, কালেভদ্রে পঞ্চভোগ্যা!
বেশ ভালো লাগলো।
উত্তরমুছুন