সময়ের স্রোত
(প্রথম কিস্তি)
অপুর আজকাল চোখ বন্ধ হলেই
মনে হয়, অন্ধকার এক লেভেল ক্রসিং এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সামনে দিয়ে ঝমঝম করে ছুটে যাচ্ছে মেল ট্রেন। ইঞ্জিনটা কখনও ডাবলু পি ষ্টীম ক্যানাডিয়ান, কখনও বা ডিজেল বা হালের ঝকঝকে ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ।
কামরা গুলো শনশন করে
বেরিয়ে যায়, কখনও আলো আর আঁধার; পিচকিরি দিয়ে ছিটিয়ে।
অনেকবার চেষ্টা করেছে, কটা কামরা আছে দেখতে, কিন্তু গতির সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তার সারা জীবনভর হয় নি। তাই আর গোনাও হয় না।অন্ধকার
জাঁকিয়ে বসে, ট্রেন চলে যাবার পর। তখন হু হু করে মন। ধূ ধূ
করা কাকে বলে, হাড়ে হাড়ে বোঝে অপু।
আজকাল ১ মিলিগ্রাম
আ্যালপ্রাজোলাম খায় অপু। তা প্রায় ৬ বছর হয়ে গেল। ঘুমের ওষুধের মৃদু ঝাঁকুনিতে, শরীর টা মনে হয় ট্রেনের কামরাতেই আছে।
ডাবলু পি ষ্টীম
ক্যানাডিয়ান ইঞ্জিনে টানা মেল ট্রেনটা হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ল। সামনেই একটা কামরা!
প্রতিটা জানলায় জ্বলছে আলো।
বক্তৃতা দিচ্ছে অপু-
কমরেডস,
ইউটিলিটি ভ্যালু আর
একচেঞ্জ ভ্যালু প্রাচীন কালেই জানা ছিল। তাই কৃষক যখন তার নিজের প্রয়োজনে একটা কাস্তে কিনতে যেত, বিনিময়ে কর্মকার চাইত চাল। কৃষক ভাবত, কতটা চাল
দেবে দুটো কাস্তের বিনিময়ে! অপর দিকে কর্মকার ভাবত, দুটো কাস্তের বিনিময়ে কতটা চাল চাইবে! টানাপোড়েনের অন্ত ছিল
না। মার্ক্স বললেন- এক সের চাল তৈরী করতে যে পরিশ্রম করতে
হয়, একটা কাস্তে তৈরী করতে সেই একই পরিশ্রম হয়, তবেই এক সের চাল; সমান সমান একটা কাস্তে। এটাই লেবার ভ্যালু।
ফার্ষ্ট ইয়ারের কিছু বাছা
ছাত্র, ছাত্রীদের সামনে বলছিল অপু। বিনয় ঠকঠক শব্দ করে
ঢুকল ঘরে।
অপুউউ- তুই ফার্ষ্ট ক্লাস
পেয়েছিস। এম. এস. সি ( ফিজিক্স) এবার তোর নামের পাশে বসবে।
সবাই হই হই করে উঠল।
খাওয়ান অপুদা। আজ থিয়োরিটিক্যাল সেলের ক্লাসটা বন্ধই থাক!
ঝকঝকে ইলেকট্রিক
লোকোমোটিভে টানা মেল ট্রেনটা দাঁড়িয়ে পড়ল। দাঁড়িয়ে যাওয়া শীততাপনিয়ন্ত্রিত কামরার
ঝাপসা আলো বেরিয়ে আসছে।
সদ্য শিকাগো থেকে আসা
ছোটো ভাইয়ের বউ, তানিয়া সামনে
একটা হাফ প্যান্ট পরে দাঁড়িয়ে। উর্দ্ধাঙ্গে একটা ঢিলেঢালা জামা!
-এ কি তানিয়া!
কবে এলি?
- এই তো দুদিন
হলো! বাপের বাড়ীতেই উঠেছি। ছেলে মেয়ের সামার ভ্যাকেশন। চলে এলাম।
- তা, এই হাফ প্যান্ট পরে!
- ও নোওও! এটা
ক্যাপরি। বেশ কমর্ফোটেবল লাগে তোমাদের এই কলকাতার প্যাচপেচে গরমে। এখন তো কোলকাতাতেও এগুলো পরে বেরুয় সবাই!
হাউ সিলি! তুমি সেই ব্লাডি কমি আ্যাটিটুডেই থেকে গেলে!!!! এই
নাও- বিগ এ্যান্ড টল ষ্টোর্স থেকে তোমার
একটা টি শার্ট এনেছি। যা লম্বা আর মোটা তুমি!!!!!!!!! আর একটা দাড়ি কাটার
ফোম!
- মামা! টুমি
তো জেটুকে সার্টটা ডিলে না। হঠাৎ বলে উঠল ছ বছরের ভাইপো!
চোখটা একটু গরম হলো কি
তানিয়ার?
সেই তানিয়া! ভাইয়ের
অনুরোধে তাকে দেখতে গেছিল। ভাই শিবপুরের প্রথম ব্যাচের কমপিউটার ইঞ্জিনিয়ার! সব ফ্যাকালটি মিলিয়ে গোল্ড
মেডাল পেয়ে ফার্ষ্ট ।
তানিয়া বলেছিল- আর দেরী
করবেন না! বলে দিন, এ বিয়ে হবে
কি হবে না! তখনই বলে দিয়েছিল অপু- হচ্ছে তো! আমি তো সেই কথাটাই বলতে এসেছি।
বাচ্চা মেয়ের মত খুশী
হয়েছিল তানিয়া
ডিজেল লোকোমোটিভটা
দাঁড়িয়ে পড়ল। পেছনে সার সার কামরা। কোনোটাতে আলো জ্বলছে, কোনোটা অন্ধকার!
- অপু, তুমি ডিসাইড
কর! পার্টির কোন ফ্রন্টে তুমি কাজ করবে। বাচ্চুদা বলেছেন- তোমার ট্রেড ইউনিয়ন
ফ্রন্টেই কাজ করা উচিত!
জীবনদার কথাটা মেনে নিল
অপু! তার ভালোই লাগে ট্রেড ইউনিয়ন ফ্রন্টে কাজ করতে।
ইতিমধ্যে, একটা কলেজে আ্যড-হক আ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়েছে। একটু খচখচানি আছে! নিয়োগপত্রে লেখা- সাবজেক্ট টু পোলিস ভেরিফিকেশন! তা
থাক! কমিউনিষ্ট পার্টি করা তো অপরাধ নয়!
ভালই হয়েছে! হাতে টাইম
থাকবে, কলেজে ক্লাস নিয়ে। তার খুব ইচ্ছে বিড়ি শ্রমিক
নিয়ে কাজ করার!
দিনে হাজার বিড়ি তৈরী
করলে, ২ টাকা মজুরী। মেয়েরা পায় ১ টাকা! মহাজনের কাছে তৈরী বিড়ি দিলে, তার মধ্যে ৩০০ বিড়ি বাতিল। সেগুলো ফেরত-ও দেয় না। ওই ৭০০ বিড়ির মজুরী। পরে আবার সেই বাতিল বিড়িগুলো ব্যাবহার করে
মহাজনেরা।
মিনিমাম ওয়েজ আ্যাক্ট অনুযায়ী
১০০০ বিড়ি তৈরী করলে ৫ টাকা মজুরী। কিন্তু, কোনো মহাজন দেয় না। মিনিমাম ওয়েজ ইনসপেক্টর আছে। কিন্তু, মহাজনের সামনেই
জিজ্ঞেস করে, তারা ঠিকঠাক মজুরী পাচ্ছে কিনা! কোনো শ্রমিকই
আর বলতে পারে না আসল কথাটাই। শুধু ঘাড় নাড়িয়ে, হ্যাঁ বলে চলে আসে সবাই!
মাসের ৩ তারিখে
প্রিন্সিপ্যাল ডেকে পাঠালেন, তাঁর নিজের
ঘরে।
-আসতে পারি? অপু বলল
- ও! মিষ্টার
চ্যাটার্জ্জি!! প্লিজ কাম ইন। প্লিজ টেক ইয়োর চেয়ার!
-চেয়ারটা টেনে
বসল অপু।
- আপনার তো
একমাস হয়ে গেল!
- হ্যাঁ স্যার!
-ইটস টাইম, ইউ শুড গেট ইয়োর স্যালারি!
- হ্যাঁ স্যার!
- শুনুন!
আপনাকে যে জন্য ডাকা!
- বলুন স্যার!
- ইয়ে মানে!
আপনার মাইনে তো ৪০০ টাকা! ভাউচারে সাইন করবেন ৪০০ টাকারই, কিন্তু হাতে পাবেন ৩০০ টাকা! আ্যকাউট্যান্টের কাছে যান।
নিয়ে নিন!
-কিন্তু, স্যার! ওই বাকী ১০০
টাকাটা পাব না কেন?
-নো
কোয়েশ্চেন! এটাই দস্তুর! আ্যডহকের সিস্টেমটাই এই!
- ঠিক আছে
বুঝলাম, কিন্তু এই টাকাটা কোন খাতে যাবে, এটা যদি একটু বুঝিয়ে বলেন!!!
-আর ইউ আস্কিং
মাই ক্রেডিবেলিটি?
- নট আ্যট অল
স্যার! জাস্ট, আই ওয়ান্ট টু ক্লারিফাই মাইসেলফ!
- শুনুন, আমার কাছে খবর আছে; আপনি কমিউনিস্ট পার্টি করেন। দু একটা খুনও করেছেন।
- প্রথমটা
সত্যি, দ্বিতীয়টা মিথ্যে! কমিউনিস্ট পার্টি করলেই কি
খুন করে নাকি?
- তর্ক করছেন
কেন? যেটা অভিযোগ, খবর নিয়ে জেনেছি, সেটা সত্যি। এবার আপনি কি চাকরিটা
করতে চান কি চান না! যদি চান, তা হলে গিয়ে
টাকাটা নিয়ে নিন। আদারওয়াইজ, ইউ উইল বি অন সিদিং কলড্রন! মাইণ্ড ইট!
মাথায় হাজার বিছের কামড়!
বাবা রিটায়ার করবেন পরের মাসে। দুই ভাই আর বোন! এক আকাশ আশা, মাথায় নিয়ে বাবা বসে। অপুর একটা হিল্লে হয়ে গেছে। আর চিন্তা নেই!
অপু গর্জ্জে উঠল- ইউ
মাষ্ট ক্লারিফাই মিঃ মজুমদার! সিদিং কলড্রন!!!!!! মাই ফুট! ইউ আর আ্যাকাউন্টেবল টু মি! ইটস মাই রাইট টু নো!
আফটার অল, দিস ইস মাই হার্ড আনর্ড মানি! আই কানট আ্যফোর্ড টু
সাইফন ইট, আ্যজ পার ইয়োর হুইমস।
- ইংরেজী মারানো হচ্ছে?
- মুখ সামলে কথা বলবেন! আর ইংরেজীটা আপনিই শুরু করেছিলেন।
- কি করবেন আপনি? মারবেন!!!!!!
- আমি ভদ্রলোক!
- এই তো নমুনা দেখছি! স্যার না বলে, সারনেম ধরে বলছেন! এরপর তো ফার্ষ্ট নাম ধরে ডাকবেন!
- ওটা আপনাদের কালচার! আমার নয়। যাক, আসল কথায় আসুন! পুরো টাকাটা দেবেন কি দেবেন না?
- অয়েল, নিয়ে যান, বাট ইউ আর টারমিনেটেড!
- মামা বাড়ী নাকি? সরকারী কলেজে আপনি কে, টারমিনেট
করার?
- সেটা দু দিন পরেই বুঝবেন! নাউ পুশ অফ!!!!!!
পর্ব-২
লোকটাকে বিয়ের ৩৮ বছর পরেও চিনল না কনক! আজকাল একটু ম্যাঁদা
মেরে গেছে, কিন্তু তেজ আর গোঁ একই! প্রতিবাআআআআদ! এই
প্রতিবাদ করেই গেল লোকটা! কোনোখানেই
কমপ্রোমাইজ করবে না! অদ্ভুত মানসিকতা! বিয়ের আগে বাবা বলেছিলেন- খুব আদর্শবাদী ছেলে! তাই তোকে এখানেই বিয়ে দিচ্ছি! পার্টি
করে। ভেবে নিয়ে বলিস! খুব রোমাঞ্চ হয়েছিল! মফঃস্বলে বাড়ী।
ভোটের সময় শুনত- ভোট দেবেন কিসে? কাস্তে ধানের শীষে!
আরও একটা শ্লোগানও শুনত- কেউ খাবে আর কেউ খাবে না- তা হবে
না, তা হবে না!!!!!!!!!!! খুব নাড়া দিত শ্লোগানটা! সত্যিই তো! এটা খুব অন্যায়! তাই, বি পিএফ এস. ফে
নাম লিখিয়েছিল! টুকটাক সংগঠনের প্রোগ্রামেও যেত! পাশের বাড়ীর টুনী পিসি
এসে নরম করে মাকে বলেছিল- মেয়ে যে আস্তে আস্তে মাকু হয়ে যাচ্ছে, মায়াদি!
দিনকাল ভালো না! যা-তা হয়ে যেতে পারে, যে কোনো সময়! মা খুব বকেছিলেন! ফলে ইচ্ছে থাকলেও আর সেরকমভাবে অংশগ্রহণ করতে
পারত না কনক! তাই আত্মীয় মারফত বিয়ের সম্বন্ধ আসতে, বাবা গিয়ে ছেলের বাবার সঙ্গে কথা বলে এসেছিলেন। ছেলের সঙ্গেও দেখা হয়েছিল। বাবা তো
গলে জল!
অপুর বাবা বলেছিলেন- ভালো করে ভেবে দেখুন, বাঁড়ুজ্জে বাবু! ছেলে কিন্তু প্রায় বাউণ্ডুলে। দিনরাত পার্টি করে বেড়ায়, সেলসের চাকরীর ফাঁকে ফাঁকে। ওদের একটা ইউনিয়নও আছে। সেখানে অল ইণ্ডিয়া কনভেনার! কোনো
গারান্টি নেই চাকরীর!
বাবা বলে এসেছিলেন- আমার কোনো আপত্তি নেই। আশা করি মেয়েও
আপত্তি করবে না। মেয়ের মা, একটু বেগড়বাঁই করতে পারে- তা সেটা সামলে নেব। শুধু একটা কথা বলুন- এরকম ছেলে, বিয়ে করতে রাজী হলো কেন?
অপুর বাবা হাসতে হাসতে বলেছিলেন-এক বড়লোকের মেয়ে, ওর পিছু ছাড়ছে না! আমার বাড়ীও এসেছিল, মেয়ের বাবা!
ছেলে বলেছিল- আপনার মেয়ের সম্বন্ধে আমার বলার কিছু নেই!
কিন্তু, আপনার গুণ্ডা লাগিয়ে ইউনিয়নের নেতাদের মারার কথা আমি জানি। আরও অনেক কথা জানি আমি! থাক, সে সব কথা।
আপনাকে শ্বশুর ভাবতেই আমার ঘেন্না করবে! সরি, এটা আমাদের
পারসোনাল লাইফে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তা ছাড়া- আপনার মেয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হলেই ছেড়ে পালাবে আমায়। দুধে- ভাতে বড় হওয়া মেয়ে আমার
সঙ্গে টিঁকতে পারবে না! সিনেমায় এসব হয়। বাস্তবে অসম্ভব!
তারপরেই ছেলে আমায় বলে কাগজে বিজ্ঞাপন দিতে! খোলাখুলি
বলেছিল- আমার বিয়ের খুব দরকার! একটু সেফ থাকতে চাই। তোমার
প্রতি আমার আস্থা আছে আমার। একটু
দেখেশুনে মেয়ে সিলেক্ট করো।
মেয়ে আমি দেখব না। শুধু দেখ, মানসিকতার মিল যেন কাছাকাছি হলেও থাকে! তা বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগেই তো আপনি হাজির! বিমলও আপনাদের
সম্বন্ধে খুলে বলেছে। মেয়েরও তো
ব্যাকগ্রাউণ্ড আছে, বি.পি এস.
এফের। ফোটো দেখেছি। পছন্দ!!! এই সব মেয়ে দেখার মধ্যে আমি নেই। খুব অপমানজনক, মেয়েদের পক্ষে। আমি নিজে স্বাধীনতা সংগ্রামী। ছেলের সঙ্গে রাজনৈতিক পার্থক্য আছে, কিন্তু এ ব্যাপারে আমি ছেলের সঙ্গে একমত!
ফিরে এসে, বাবা কনক কে
সব খুলে বলেন। কনক তো ছেলের ফোটো দেখেই কাত! তার ওপর পার্টি করা ছেলে! মাকে নিয়ে ভয় ছিল, কিন্তু অবাক হয়ে দেখল- মাও রাজী।
রেজিষ্ট্রী বিয়েই হলো শেষ পর্য্যন্ত। ছেলের খরচ করার
সামর্থ্য নেই। দুই বাবারই একটু
ইচ্ছে ছিল- লোকজন খাওয়ানো! অপু এমন রক্তচক্ষু নিয়ে তাকাল, যে আর কিছু বলতে
কেউ সাহস করে নি।
রেজিষ্টার ফরম্যালিটিস সারার পর, সকলের সামনে কনকের দু হাত ধরে বলেছিল- কমিউনিষ্টরা আপন মত লুকিয়ে রাখতে ঘৃণা বোধ করে। এসো- এই
কথাটা একসঙ্গে দুজনে বলি। ঘোরলাগা অবস্থায় কনক বিড়বিড় করে
বলেছিল কথাগুলো, অদ্ভুত এক
ভালো লাগা নিয়ে!
ফুলশয্যার রাতে, একটু জড়োসড় ছিল কনক! অপু একটা সিগারেট ধরিয়ে আস্তে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল-
কনক, আমি কৃতজ্ঞ তোমার কাছে!
পাঁচটা শব্দে কনক “ভালোবাসা”র ডাকটা
পরিস্কার শুনতে পেল।দুহাত দিয়ে কপালটা ধরে
চুমু খেল অপু! সারা গায়ে মাদকতা! সপেঁ দিল নিজেকে অপুর কাছে।সুডোল স্তনে সাপের মত অপুর হাত দুটো খেলা করতে লাগল। উন্মুক্ত
হতে লজ্জা করছিল কনকের! অপুর সিগারেটের গন্ধটা বেশ
পরিবেশ তৈরী করেছে।
ডুবে যাচ্ছে কনক! আনন্দের ভেলায় ভাসছে! বিবাহিত বন্ধুদের
কাছ থেকে ঠারেঠোরে অনেক কিছু শুনেছে! গীতার বিয়ের পর
সুমিতা, জিজ্ঞেস করেছিল- গীতা, সব হয়ে গেছে তোদের?
লাজুক হেসে গীতা বলেছিল- যাঃ!!!!
কনক এখন বুঝতে পারছে- সব হয়ে যাওয়াটা কি!!!!!!!!!!
তোমাকে তো নামতে হবে আমার সাথে! অপু বলল একদিন!
(চলবে)