বিশেষ রচনা
কবিতা লেখা
কখনো কখনো কবিতা লেখাকে আমার মাছ ধরার সাথে তুলনা করতে ইচ্ছে হয় । আপনি ছিপ নিয়ে বসে আছেন পুকুরের পাশে । হয়তো অনেকক্ষণ পর একটু ফাৎনা নড়ে উঠলো , আপনি ছিপটা টান দিলেন - কিছুই উঠলোনা । চতুর মাছ টোপ খেয়ে পালিয়ে গেছে । অথবা কখনো দেখলেন আস্ত বড়শিটাই গায়েব - কাছিম কিংবা কাঁকড়ার কাজ । আপনি জানেন না , মাছ পাবেন কিনা , তবু ছিপ নিয়ে বসে থাকতেই হবে। মাঝে মাঝে আপনার মনে হতে পারে আপনি যেন কখনোই লেখেননি , অথবা আর কখনোই লিখতে পারবেন না । সে বড় কষ্টের কাল । আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে পৌঁছায় । তবে যারা চেষ্টা-কবি বা সেয়ানা কবি - তাদের কোন অসুবিধা নেই ।তারা যে কোন বিষয় ঠিক করে , আগে থেকে অভিধান থেকে কিছু শব্দ বের করে, নিয়মে সাজিয়ে কারখানার মতো উৎপাদন চালিয়ে যান । কবিকে থাকতে হয় অপেক্ষায় -কখন আসবে সেই বুনো হাওয়ার গোপন প্ররোচনা ,বেপরোয়া চিত্তবিকার! আমার মনে হয় খুব যুক্তিবাদী এবং সুস্হির লোকেদের জন্য কবিতা না। কবিতা কিছু যুক্তিহীন আবেগ ও বিশৃঙ্খলাকে ধারণ করতে চায় । সেয়ানারা জাগতিক সাফল্যও চায় ,আবার কবিখ্যাতিও চায় । চারপাশে তাই দেখবেন আমলা কবি , ব্যবসায়ী কবির ভিড়। স্তুতি , খ্যাতি ,পদক এদের পায়ের কাছে গড়াগড়ি খায়। প্রকৃত কবির এসবের দরকার নেই। তার চাই আনন্দ -দিগ্বিজয়ী সম্রাটের আনন্দ ।
কারো কারো কাছে কবিতা লেখার পুরো বিষয়টাই একটা দুরারোগ্য ব্যাধি বলে মনে হয় - লোকনিন্দা , উপহাস যার একমাত্র পুরষ্কার ! হতে পারে , তবু অনেকেই এই অসুখ পুষে যাবে আমরন - ‘অসম্ভবের পায়ে’ মাথা কুটে মরবে। ধরা দাও, ধরা দাও ‘অধরা মাধুরী’ ছন্দোবন্ধনে!
কারো কারো কাছে কবিতা লেখার পুরো বিষয়টাই একটা দুরারোগ্য ব্যাধি বলে মনে হয় - লোকনিন্দা , উপহাস যার একমাত্র পুরষ্কার ! হতে পারে , তবু অনেকেই এই অসুখ পুষে যাবে আমরন - ‘অসম্ভবের পায়ে’ মাথা কুটে মরবে। ধরা দাও, ধরা দাও ‘অধরা মাধুরী’ ছন্দোবন্ধনে!
খুব ভালো লাগলো ফারুক ভাই। একেবারে মনের কথা বলেছেন।
উত্তরমুছুন