স্বাধীনতা
সমর কুমার সরকার
গিন্নী শুধায়,“বলো দেখি,স্বাধীনতা
কাকে বলে ? কেমন করে মেলে কোথা ?”
আমি বলি,“সে কি! তুমি তাও জানো না ?
বলছি শোনো,- যেমন পাখী মুক্ত ডানা
ছড়িয়ে ভাসে নীল আকাশে,আপন মনে,
নেই কো বাধা,নেই কোন চাপ কোন খানে,
খেয়াল খুশী বাঁচতে চাওয়ার সার্থকতা,
মুক্ত জীবন,মুক্ত প্রাণ ই স্বাধীনতা।
কিন্তু,ধরো; সেই পাখী কে গায়ের জোরে,
পুষবে বলে রাখলে খাঁচায় বন্দী করে,
সোহাগ করে যতই না দাও শস্য দানা,
বন্ধ খাঁচায় মনের সুখে উড়তে মানা,
পাখীর বাঁচা-মরা হলে তোমার অধীন,
জানবে,পাখীর জীবন বৃথা,সে পরাধীন।
স্বাধীনতা জীবনে তে সুখের খনি,
পরাধীনের জীবন ভরা শুধুই গ্লানি।”
গিন্নী আমায় বললো তখন শ্লেষের স্বরে,-
“বলার আগে দেখেছো কি বিচার করে ?
স্বাধীনতার মানে তোমার ভাল ই জানা,
আমার বেলায় তবে কেন উল্টো গোনা ?
মুখে বলো,নারী পুরুষ সমান সমান,
আমি স্বাধীন আছে তোমার এমন প্রমাণ ?
সংসার তো দেখছি এখন বাঁশের খাঁচা,
তার ভিতরে বন্দী আমি লক্ষ্মী পেঁচা।
এনেছিলে সুখ ও দুখের সঙ্গী করে,
‘সব অভিনয়’,পড়লো ধরা ক’দিন পরে।
হঠাৎ দেখি,পরাধীন এক বন্দী নারী,
বাধ্য হয়ে রান্নাঘরে ঠেলছি হাঁড়ি।
বাসন মাজা,কাপড় কাচা,ঘর গুছানো,
ছেলে মেয়ের লালন পালন,মন ভুলানো,
এসব কাজেই জীবন কেটে গেলো বৃথা,
একে তুমি বলবে নারীর স্বাধীনতা ?
পুরুষ জাতি তোমরা দেখি বেজায় রসিক!
নিজের বেলায় সব কিছু চাই সঠিক সঠিক।
এক বার ও কি ভেবে দেখো কিসের দোষে,
নারী জাতি র জীবন কাটে এমন ক্লেশে ?
যাদের বলো বড়াই করে জীবন সাথী,
হও না কেন তাদের ব্যথায় সমব্যথী ?
মুক্ত করে দাও গো এবার খাঁচার পাখী,
ঝাপটে ডানা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখি।”
সমর কুমার সরকার
গিন্নী শুধায়,“বলো দেখি,স্বাধীনতা
কাকে বলে ? কেমন করে মেলে কোথা ?”
আমি বলি,“সে কি! তুমি তাও জানো না ?
বলছি শোনো,- যেমন পাখী মুক্ত ডানা
ছড়িয়ে ভাসে নীল আকাশে,আপন মনে,
নেই কো বাধা,নেই কোন চাপ কোন খানে,
খেয়াল খুশী বাঁচতে চাওয়ার সার্থকতা,
মুক্ত জীবন,মুক্ত প্রাণ ই স্বাধীনতা।
কিন্তু,ধরো; সেই পাখী কে গায়ের জোরে,
পুষবে বলে রাখলে খাঁচায় বন্দী করে,
সোহাগ করে যতই না দাও শস্য দানা,
বন্ধ খাঁচায় মনের সুখে উড়তে মানা,
পাখীর বাঁচা-মরা হলে তোমার অধীন,
জানবে,পাখীর জীবন বৃথা,সে পরাধীন।
স্বাধীনতা জীবনে তে সুখের খনি,
পরাধীনের জীবন ভরা শুধুই গ্লানি।”
গিন্নী আমায় বললো তখন শ্লেষের স্বরে,-
“বলার আগে দেখেছো কি বিচার করে ?
স্বাধীনতার মানে তোমার ভাল ই জানা,
আমার বেলায় তবে কেন উল্টো গোনা ?
মুখে বলো,নারী পুরুষ সমান সমান,
আমি স্বাধীন আছে তোমার এমন প্রমাণ ?
সংসার তো দেখছি এখন বাঁশের খাঁচা,
তার ভিতরে বন্দী আমি লক্ষ্মী পেঁচা।
এনেছিলে সুখ ও দুখের সঙ্গী করে,
‘সব অভিনয়’,পড়লো ধরা ক’দিন পরে।
হঠাৎ দেখি,পরাধীন এক বন্দী নারী,
বাধ্য হয়ে রান্নাঘরে ঠেলছি হাঁড়ি।
বাসন মাজা,কাপড় কাচা,ঘর গুছানো,
ছেলে মেয়ের লালন পালন,মন ভুলানো,
এসব কাজেই জীবন কেটে গেলো বৃথা,
একে তুমি বলবে নারীর স্বাধীনতা ?
পুরুষ জাতি তোমরা দেখি বেজায় রসিক!
নিজের বেলায় সব কিছু চাই সঠিক সঠিক।
এক বার ও কি ভেবে দেখো কিসের দোষে,
নারী জাতি র জীবন কাটে এমন ক্লেশে ?
যাদের বলো বড়াই করে জীবন সাথী,
হও না কেন তাদের ব্যথায় সমব্যথী ?
মুক্ত করে দাও গো এবার খাঁচার পাখী,
ঝাপটে ডানা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন