কবিতার পরিবারের একমাত্র ব্লগজিন

এখনও পর্যন্ত  Website counter  জন ব্লগটি দেখেছেন।

সম্পাদকীয় - ২য় সংখ্যা



এখন রোদ্দুর। আঁধারের উল্টোপিঠে চেয়ে আমরা আর আকাশ দেখি না। নিহত উল্কার পতনে খুঁজি চন্দ্রাতপের শান্তি। ফেনিল ঝোরোর জলে আজ কেবল শুভ্র শব্দের উল্লাস। এখন কেবল শিকার করি। নিহত মননের। মালা দিই। মনে মনে আবার বরণ করি। যেমন খুশি সাজাই। তারপর আপন করে টেনে নিই অন্তরের গভীরে। রোদ্দুরের পেটে ডুবে যায় সমস্ত আঁধার। একা অন্ধকার জেগে থাকে ছন্দময় ভোরের নেশায়। জানি না কবে ফিরে পাবে সেই ভোরের খোঁজ। ফুটে উঠবে পূব আকাশে সুরের মায়া। খুশিতে গেয়ে উঠবে মন। এ বুঝি নতুন জগত। চর্যাপদের ইতিহাস থেকে অনেক অনেক দুরে বাতাসে তখন ভেসে বেরাবে কল্পজগতের রক্তকরবী।

আসুন আমরা এখন ফিরে আসি কল্পলোক থেকে বাস্তবে। চিরপরিচিত কবিতার পরিবারে। জন্মলগ্নের শুরুতে যে আঁতুরঘরে আমরা দেখেছিলাম বীজপত্রের আলো। মননপুর্তির উদ্যান আমাদের সেই পারিবারিক ব্লগজিন। যেখানে সবাই হাসবে খেলবে ছুটে বেরাবে যেমন খুশি মন চায়। এটাই আমাদের পরিবারের অন্দরমহল। কল্পজগতের আপন ডেরা। এখানে কেউ বেশি কেউ কম। কেউ নবীন কেউ প্রবীন। কেউ শিল্পি কেউ যাদুকর। কেউ আপনভোলা কেউ বা নীলিমায় নীল। কেউ বেচে রূপের পসরা কেউ হাঁটে মরুদ্যানে। তবুও সবাই শেষ বেলায় বয়ে নিয়ে যায় অনাবিল স্বর্গীয় আনন্দ।


সত্যিই ভাষার প্রাচুর্য্যে হয়ত কখনোই বর্ণনা করা সম্ভব হবে না এই প্রথম দশকের নবীন সাহিত্য চর্চার পটভুমি - ব্লগজিন। বৈদিক যুগে আরম্ভ হয়েছিল সামগান। মনে রাখার সুবিধার জন্য এসেছিল ছন্দ। তারপর চর্যাপদ তাকে দিয়েছিল সাহিত্যের রূপ। ছিল পদাবলী কীর্তন। পয়ার ছন্দের আবির্ভাব। একসময় বিদেশী সাহিত্যের হাতধরে বাংলা সাহিত্যেও এসেছিল সনেট-চতুর্দশপঙতিমালা। এসেছিল অনুবাদ সাহিত্য। হাইকু-এপিটাফ-কাসিদ্দা-লিমেরিকের জগত। আস্তে আস্তে মানুষ হারিয়ে ফেলছে সেই প্রাচীন অন্তমিলের জগত-ছন্দ-সুরের জাল। কবিতার জগত মিশে যাচ্ছে গদ্যের জগতে। গদ্যকবিতা না কবিতাগদ্য সেই নিয়ে মন কষাকষিতে চলে গেছে অনেক রাত্রি। কবিতার পরিবারেও এসেছে বিবর্তন। নতুন জগতে নেই কোন অন্তমিলের ভাষা। কমে আসছে যতি চিহ্নের ব্যবহার। নতুন শব্দের খোঁজে মুক্তির পথ হেঁটে মিলন ঘটেছে একাধিক শব্দের। জন্ম নিয়েছে যুক্তশব্দ। অমৃতাক্ষর ব্রাত্য
আজ। মুক্তগদ্যের পৃথিবীতে নতুন আলোর রোশনাই। চলেছে আলোআঁধারির বেচাকেনা। অগনিত স্বেদবিন্দুর বদলে আজ নবযুগসাহিত্যের পদার্পন। আমরাও ফিরে তাকাব না আর পুরানো সেই জগতে। ফিরে যাব না অন্তমিলের জেলখানায়। সকলে মিলে বরং সাক্ষী হয়ে থাকি নতুন সাহিত্যযুগসূচনার। বাংলা সাহিত্যের পোস্টমডার্ন অবয়বের।

প্রকাশিত হল 'পারিবারিক ২য় সংখ্যা'। অনেক স্বপ্ন অনেক আশার ফসল। অনেক আদর যত্নে  বড় হয়ে উঠেছে আমাদের শিশু। সুবেশ রূপ ধারন করেছে তারা সকলে। নতুন সেই আলোর বন্যায় ভেসে গেছে সব বিষাদবিবাদ। মিলন ঘটেছে শুভ উচ্ছাসের। চিৎকার করে আমরা সকলে বলব - ঈশ্বর আমরা বেঁচে আছি, বাঁচতে চাই
আমরা। গড়তে চাই আমাদের জগত আমাদের মত করে। তারপর হাতে হাতে রেখে একসাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবো পারিবারিকের মিলনমেলায়। নতুন সূর্য মিশে যাবে সৃষ্টির ভীড়ে।



পারিবারিকের পক্ষে    
-- সুমিত রঞ্জন দাস

২টি মন্তব্য:

  1. baah... otyonto pranjol bhashay sunipun o sompurno ekti mukhobondho. khuub bhalo laaglo.. sumit-da.

    উত্তরমুছুন
  2. অনেক শুভেচ্ছা রইল যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে পূর্ণরূপে প্রকাশিত হচ্ছে এই ব্লগজিন।

    উত্তরমুছুন

সম্পাদকীয় - ২য় সংখ্যা



এখন রোদ্দুর। আঁধারের উল্টোপিঠে চেয়ে আমরা আর আকাশ দেখি না। নিহত উল্কার পতনে খুঁজি চন্দ্রাতপের শান্তি। ফেনিল ঝোরোর জলে আজ কেবল শুভ্র শব্দের উল্লাস। এখন কেবল শিকার করি। নিহত মননের। মালা দিই। মনে মনে আবার বরণ করি। যেমন খুশি সাজাই। তারপর আপন করে টেনে নিই অন্তরের গভীরে। রোদ্দুরের পেটে ডুবে যায় সমস্ত আঁধার। একা অন্ধকার জেগে থাকে ছন্দময় ভোরের নেশায়। জানি না কবে ফিরে পাবে সেই ভোরের খোঁজ। ফুটে উঠবে পূব আকাশে সুরের মায়া। খুশিতে গেয়ে উঠবে মন। এ বুঝি নতুন জগত। চর্যাপদের ইতিহাস থেকে অনেক অনেক দুরে বাতাসে তখন ভেসে বেরাবে কল্পজগতের রক্তকরবী।

আসুন আমরা এখন ফিরে আসি কল্পলোক থেকে বাস্তবে। চিরপরিচিত কবিতার পরিবারে। জন্মলগ্নের শুরুতে যে আঁতুরঘরে আমরা দেখেছিলাম বীজপত্রের আলো। মননপুর্তির উদ্যান আমাদের সেই পারিবারিক ব্লগজিন। যেখানে সবাই হাসবে খেলবে ছুটে বেরাবে যেমন খুশি মন চায়। এটাই আমাদের পরিবারের অন্দরমহল। কল্পজগতের আপন ডেরা। এখানে কেউ বেশি কেউ কম। কেউ নবীন কেউ প্রবীন। কেউ শিল্পি কেউ যাদুকর। কেউ আপনভোলা কেউ বা নীলিমায় নীল। কেউ বেচে রূপের পসরা কেউ হাঁটে মরুদ্যানে। তবুও সবাই শেষ বেলায় বয়ে নিয়ে যায় অনাবিল স্বর্গীয় আনন্দ।


সত্যিই ভাষার প্রাচুর্য্যে হয়ত কখনোই বর্ণনা করা সম্ভব হবে না এই প্রথম দশকের নবীন সাহিত্য চর্চার পটভুমি - ব্লগজিন। বৈদিক যুগে আরম্ভ হয়েছিল সামগান। মনে রাখার সুবিধার জন্য এসেছিল ছন্দ। তারপর চর্যাপদ তাকে দিয়েছিল সাহিত্যের রূপ। ছিল পদাবলী কীর্তন। পয়ার ছন্দের আবির্ভাব। একসময় বিদেশী সাহিত্যের হাতধরে বাংলা সাহিত্যেও এসেছিল সনেট-চতুর্দশপঙতিমালা। এসেছিল অনুবাদ সাহিত্য। হাইকু-এপিটাফ-কাসিদ্দা-লিমেরিকের জগত। আস্তে আস্তে মানুষ হারিয়ে ফেলছে সেই প্রাচীন অন্তমিলের জগত-ছন্দ-সুরের জাল। কবিতার জগত মিশে যাচ্ছে গদ্যের জগতে। গদ্যকবিতা না কবিতাগদ্য সেই নিয়ে মন কষাকষিতে চলে গেছে অনেক রাত্রি। কবিতার পরিবারেও এসেছে বিবর্তন। নতুন জগতে নেই কোন অন্তমিলের ভাষা। কমে আসছে যতি চিহ্নের ব্যবহার। নতুন শব্দের খোঁজে মুক্তির পথ হেঁটে মিলন ঘটেছে একাধিক শব্দের। জন্ম নিয়েছে যুক্তশব্দ। অমৃতাক্ষর ব্রাত্য
আজ। মুক্তগদ্যের পৃথিবীতে নতুন আলোর রোশনাই। চলেছে আলোআঁধারির বেচাকেনা। অগনিত স্বেদবিন্দুর বদলে আজ নবযুগসাহিত্যের পদার্পন। আমরাও ফিরে তাকাব না আর পুরানো সেই জগতে। ফিরে যাব না অন্তমিলের জেলখানায়। সকলে মিলে বরং সাক্ষী হয়ে থাকি নতুন সাহিত্যযুগসূচনার। বাংলা সাহিত্যের পোস্টমডার্ন অবয়বের।

প্রকাশিত হল 'পারিবারিক ২য় সংখ্যা'। অনেক স্বপ্ন অনেক আশার ফসল। অনেক আদর যত্নে  বড় হয়ে উঠেছে আমাদের শিশু। সুবেশ রূপ ধারন করেছে তারা সকলে। নতুন সেই আলোর বন্যায় ভেসে গেছে সব বিষাদবিবাদ। মিলন ঘটেছে শুভ উচ্ছাসের। চিৎকার করে আমরা সকলে বলব - ঈশ্বর আমরা বেঁচে আছি, বাঁচতে চাই
আমরা। গড়তে চাই আমাদের জগত আমাদের মত করে। তারপর হাতে হাতে রেখে একসাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবো পারিবারিকের মিলনমেলায়। নতুন সূর্য মিশে যাবে সৃষ্টির ভীড়ে।



পারিবারিকের পক্ষে    
-- সুমিত রঞ্জন দাস

২টি মন্তব্য:

  1. baah... otyonto pranjol bhashay sunipun o sompurno ekti mukhobondho. khuub bhalo laaglo.. sumit-da.

    উত্তরমুছুন
  2. অনেক শুভেচ্ছা রইল যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে পূর্ণরূপে প্রকাশিত হচ্ছে এই ব্লগজিন।

    উত্তরমুছুন